| ৭ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আবারও কক্সবাজারের ক্যাম্পেগুলোতে আলোচনা চলছে। কেননা রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ জায়গা আরাকান আর্মির দখলে থাকায়, দেশটির জান্তা সরকার তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিতে পারবে-এমন প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের।

কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০২৪ সালে রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপের মাংগালা গ্রাম থেকে পালিয়ে এপারে টেকনাফ সীমান্তে দমদমিয়া ক্যাম্পে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা নুর মোহাম্মদ (৫০)। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পরিবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে আমাদের নিয়ে কোথায় রাখবে, এটিও স্পষ্ট করেনি দেশটির জান্তা সরকার। সেদেশে (মিয়ানারে) কোথায় নেবে আমাদের, এ ঠিকানা যদি না পায় আমরা কেমন করে ফিরে যাব?
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের (জান্তা সরকার) এর নতুন কৌশল কিনা সেটি চিন্তা করা দরকার। কেননা সেময় তাদের দখলে থাকা রাখাইন থেকে আমাদের রোহিঙ্গাদের) বিতাড়িত করেছিল। এখনো সেখানে (রাখাইনে) আরকান আর্মির সাথে জান্তা সরকারের যুদ্ধ চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্য কিভাবে আমাদের তাঁরা (জান্তা) সেখানে নিয়ে যাবেন।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পর বসবাসকারী আজিজুল হক বলেন, ‘রাখাইনে আরকান আর্মির রাজত্ব চলছে। সেখানে কিভাবে ফিরব। আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেটা আগে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু শর্তও আছে। তার মধ্য, নিরাপত্তা, নাগরিকত, ভিটেমাটি ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা সুযোগ করে দিতে হবে।”

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘আট বছরের মধ্য মিয়ানমার জান্তা সরকার শুধু মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা তথ্য যাচাই-বাচাই শেষ করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে, এটি আসলে চিন্তার বিষয়। এত দিন পর কেন তাঁরা ছোট একটি দল নিয়ে যাচ্ছে এটার আমরা পরিস্কার না। এখানে অনেক শংসয় রয়েছে।’
বর্তমান নতুন পুরনো আর এদেশে এসে জন্মহার মিয়ে মোট ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে আরো কম-বেশি হতে পারে জানিয়ে এই রোহিঙ্গা বলেন, ‘এভাবে নিয়ে গেলে ৫২ বছরের বেশি সময় লাগবে বাংলাদেশ সকল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে। তাছাড়া আমাদের কোথায় নিয়ে রাখা হবে, বিয়টি কেউ পরিস্কার করেনি।’

এখনো রাখাইনে নির্যাতন!

বাংলাদেশে আশ্রিত হওয়ার পরও মিয়ানমারে এখনো চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসতির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্য আরাকান আর্মির দখলে থাকা রাখাইন রাজ্যের মধ্য দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসতি রয়েছে। সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের আরাকান আর্মি উপর নির্যাতন এবং হুমকি দমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা।

উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বসবাসকারী মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ‘রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে হুমকি-দমকি দিচ্ছে আরাকান আর্মি। সেদেশে থাকা আমার দুই স্বজন এখনো রয়েছে। তাঁরার মংডু টাউনশিপের রয়েছে। গতকাল তাদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তারা বলছে, ‘আরাকান আর্মি লোকজনকে কোথাও চলাফেলা করতে দিচ্ছিনা। তারা (আরাকান আর্মি) হঠাৎ করে মাইকিং করে ঘর থেকে সবাইকে বের হতে নির্দেশ দেন। তারপর তারা ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। কোন অভিযোগ ছাড়াই এ ধরনের কর্মকান্ডা চালাচ্ছে। ফলে অনেকে এপারে (বাংলাদেশে) পালিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভাসানচরে ৩৬ হাজার ৩৭৬ জনসহ কক্সবাজারের ৩৩ টি ক্যাম্পে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। দফায় দফায় আলোচনা এবং প্রতিশ্রæতির পরও গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। এরই মধ্যে আবার নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে

মালয়েশিয়ায় পারমিটের অপব্যবহার: আটক ৩০৬ বাংলাদেশি

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

মালয়েশিয়ায় আবারও বড়সড় অভিযানে ধরা পড়ল পারমিট জালিয়াতি ও অপব্যবহারের চিত্র। বুধবার (৬ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুকিত মের্তাজামের সিম্পাং আমপাট এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩০৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, সমন্বিত এ অভিযানে মোট ৭৪৯ জনের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ৩০৭ জনকে বিভিন্ন অপরাধের কারণে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০৬ জন বাংলাদেশি এবং একজন নেপালি। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

তিনি জানান, অভিযানে পারমিট সেক্টরের অপব্যবহার, অনুমোদনহীন স্থানে কাজ করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পারমিট থাকা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকার মতো একাধিক অপরাধ ধরা পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক শ্রমিকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেক্টরের পারমিট থাকলেও তারা কারখানায় কাজ করছিলেন।

অভিযানে ইমিগ্রেশন বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (জেপিএন), সেবারাং পেরাই সিটি কাউন্সিল (এমবিএসপি) এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ (জেকেকেপি) অংশ নেয়। অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিকটবর্তী জাওয়ি ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

অভিযানের সময় আটক এক বাংলাদেশি জানান, তিনি ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় এসেছেন একজন এজেন্টের মাধ্যমে। এজন্য তাকে প্রায় ২০ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ) দিতে হয়েছে।

দাতুক জাকারিয়া সতর্ক করে বলেন, মালয়েশিয়ায় কেউ পারমিটের অপব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুন্দরবন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে লোকালয় থেকে হরিণ উদ্ধার

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

ছবি- শ্যামনগরে লোকালয় থেকে উদ্ধারকৃত হরিণ শাবক।

শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে লোকালয়ে এক ব্যক্তির পুকুর থেকে জীবিত একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেছেন সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের ফরেষ্টারবৃন্দ।

বুধবার (৬ আগষ্ট) সকালে শ্যামনগর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রামবাসির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির ফরেষ্টারবৃন্দ হরিণটি উদ্ধার ও অবমুক্ত করেন।

বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের আওতায় মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল জানান,গ্রামবাসির মাধ্যমে জানতে পারেন একটি জীবিত হরিণ শাবক পুকুরে ভাসতে দেখে তারা উদ্ধার করেছেন। তৎক্ষনাৎ কয়েকজন ফরেষ্টার সহ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে হরিণটি লোকালয় থেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান উদ্ধারকৃত হরিণটির বয়স অনুমান দুই বছর। এটি ছিল মেয়ে হরিণ।

তালবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মননজয় মন্ডল বলেন সকালে তারা হরিণটিকে একটি পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে বনবিভাগকে সংবাদ দেওয়া হলে বনবিভাগ কর্মকর্তাবৃন্দ হরিণটিকে নিয়ে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেন।

পটুয়াখালী ভার্সিটির, রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ এর মনোনয়ন।

রাখাইন ফিরে যেতে রাজি, তবে  এখনো রাখাইনে নির্যাতন চলছে

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের নতুন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে মনোনীত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১-এর ১৮(১)(এ) ধারা অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৩তম সভার সুপারিশক্রমে, ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতাবলে তাঁকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পদে ৪ আগস্ট ২০২৫ থেকে আগামী তিন বছরের জন্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।

ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পএের মাধ্যমে এ নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ বলেন, পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া আমার জন্য এক বিরাট সম্মানের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গঠনমূলক অবদান রাখতে পারব। শিক্ষা, গবেষণা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং এ দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ একজন মেধাবী, অভিজ্ঞ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক। তাঁর একাডেমিক দক্ষতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রিজেন্ট বোর্ডের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা আশা করি, তাঁর যোগদান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

পবিপ্রবি পরিবার নবনিযুক্ত রিজেন্ট বোর্ড সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে।

×