| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা ,খুশিতে মেতে উঠে সবাই

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা ,খুশিতে মেতে উঠে সবাই

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা

এসে মিলি প্রাণের টানে, ফিরে যাই-শৈশবে, মেতে উঠি উৎসবে’ এই শ্লোগানে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় খাট্রাউছনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩৬ বছর (তিন যুগ) পরে ১৯৮৯ এস এস সি ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) খাট্রাউছনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে ১৯৮৯ এস এস সি ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্মৃতিচারণ প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ ৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধু-বান্ধবী, ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনীদের নিয়ে ঈদুল ফিতরের পরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সবাই মেতে উঠে উৎসবে। প্রত্যকে তাদের ছেলে মেয়ে আবার কারও নাতী নাতনিদের সাথে নিয়ে আসছে এই উৎসবে। একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে খোশগল্পে মজে যায় বন্ধু বান্ধবীরা।
এরপরে এস এস সি ১৯৮৯ ব্যাচের মোঃ রবিউল ইসলাম টুটুল এর সঞ্চালনায় এবং খাট্রাউছনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃমোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক মোঃ সুলতান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে আমরা একত্রিত হতে পেরেছি এতে আমি আনন্দে আত্মহারা! আমার বলার অনূভুতি হারিয়ে ফেলেছি। মূলত দীর্ঘদিন পরে বন্ধু বান্ধবীদের মিলন মেলা, প্রাক্তন শিক্ষকদের সাথে কুশল বিনিময় ও খুশিতে মেতে উঠবে সবাই এর জন্যই এই আয়োজন।
উক্ত ব্যাচের আরেক একজন গোপাল চন্দ্র স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সে সময়ে আমার শিক্ষকরা যে শিক্ষা দিয়েছে। সেই শিক্ষা থেকেই আজও আমি আমার ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দেয়। তাদের কোন প্রাইভেট দেয় না। আমি বর্তমানে রংপুরে উপজেলা সমবায় অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি।
আব্দুল মজিদ ও নুরুজ্জামান দুই বন্ধু স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমরা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। চাকরি জীবন শেষ করে ছেলে মেয়ে নাতী নাতনিদের সাথে বেশ ভালো আছি। দীর্ঘ দিন পরে বন্ধু সুলতানের উদ্যোগে আজকের আয়োজন। এখানে সবাই একত্রিত হতে পেরে সত্যিই আমরা আনন্দিত।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ১৯৮৩ সালে আমি এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। এরপরে সাফল্যের সাথে দীর্ঘদিন চাকুরির পরে ২০২১ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি প্রথম তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি যারা এই প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন। আজকে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষকদের যেভাবে সম্মান দেওয়া হয়েছে এতে সত্যিই অভিভূত এবং আমাদের ছাত্ররা বিভিন্ন অফিসার, সেনাবাহিনী ও শিক্ষককতায় পেশায় আছেন শুনে আজ মনে হচ্ছে আমরা সার্থক। আমরা মানুষের মতো মানুষ তৈরি করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি নিজেও ১৯৮৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আজ এই স্কুলের প্রধান শিক্ষককের দ্বায়িত্বে আছি। এটা আমার আত্মগর্ব। আমি এখানে যতদিন প্রধান শিক্ষককের দ্বায়িত্বে আছি আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

স্মৃতিচারণ শেষে প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সাথে উপস্থিত সকল বন্ধু বান্ধবীদের ক্রেস্ট তুলে দেন প্রাক্তন শিক্ষক বৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ আফজল হোসেন, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ সিদ্দিক হোসেন, মোঃ এমদাদুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ আজাদ হোসেন। এছাড়াও ৮৯ ব্যাচের পরিতোষ চন্দ্র, বজলুর রশিদ, মাবুদ হোসেন, নাসরিন বেগম, নিলুফা ইয়াসমিন সহ অনেকে।
দুপুরে জুম্মা নামাজ শেষে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকসহ একসাথে দুপুর খাবার শেষ করেন।

জুলাইয়ে ডিজেল-পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা ,খুশিতে মেতে উঠে সবাই

জুলাইয়ে ডিজেল-পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত

জুলাই মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। রোববার (২৯ জুন) নতুন এ দাম ঘোষণা করা হয়।

জুলাইয়ে প্রতি লিটার ডিজেল ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১১৮ টাকা এবং অকটেন ১২২ টাকায় বিক্রি হবে।

এর আগে জুন মাসে ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা করা হয়। পেট্রোল ও অকটেনের দামও কিছুটা কমানো হলেও কেরোসিনের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা জুলাইতেও একই থাকছে।

এনবিআরের সব চাকরি অত্যাবশ্যক ঘোষণা

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা ,খুশিতে মেতে উঠে সবাই

এনবিআরের সব চাকরি অত্যাবশ্যক ঘোষণা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন দেশের সকল কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সকল শ্রেণির চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। শিগগির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে না ফিরলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) এক সরকারি বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ। প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব আহরণ কম হওয়ার পেছনে দুর্বল ব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বড় কারণ।’

এই প্রেক্ষাপটে রাজস্ব বোর্ডকে পুনর্গঠন এবং রাজস্ব খাতের সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে রাজস্ব সংস্কারের উদ্যোগে বাধা দিতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী গত দুই মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অযৌক্তিকভাবে ব্যাহত করছেন, যা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

সরকারের পক্ষ থেকে দাবি বিবেচনা ও আলোচনায় আসার আহ্বান সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা কোনো সমঝোতায় না গিয়ে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছেন বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে। এতে দেশের অর্থনীতি ও জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

জাতীয় স্বার্থে জরুরি আমদানি-রফতানি ও বৈদেশিক বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার এনবিআরের অধীনে থাকা সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সরকার আশা করছে, আন্দোলনকারীরা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসবেন। অন্যথায় দেশের অর্থনীতি ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে সরকার।

সংখ্যানুপাতিক ভোটে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা আব্বাস

৩৬ বছর পরে প্রিয় বিদ্যাপীঠে বন্ধুদের মিলন মেলা ,খুশিতে মেতে উঠে সবাই

সংখ্যানুপাতিক ভোটে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা আব্বাস

দেশে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়ে একটি গোষ্ঠী দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ প্রচলিত ভোট ব্যবস্থায় অভ্যস্ত। তাই নতুন নতুন পদ্ধতি চালু করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে সফল হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চাঁদাবাজকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না—সে বিএনপিরও হোক না কেন। এখন অনেকে দলের মধ্যে ঢুকে হালুয়া-রুটির ভাগ নিতে চায়, তাদেরও প্রতিহত করতে হবে।’

×