মঙ্গলবার, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা রাজধানী, নেই কোন যানজট

আবাসন নিয়োজ২৪.কমঃ বিশেষ প্রতিনিধি

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা রাজধানী, নেই কোন যানজট

ঢাকা: ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা রাজধানী, নেই কোন যানজট , দীর্ঘ দিন পর পাওয়া এক স্বস্তি। তবে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, মানিক মিয়া এভিনিউ ও হাতিরঝিল এলাকাতে। এসব স্থানে নগরবাসী তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন।

তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদের প্রথম দিন থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়ক এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল সবার চেয়ে কম।

সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি কম
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে খুব কম সিটি সার্ভিস বাস চলাচল করছিল। বেশিরভাগ বাসেই যাত্রী সংখ্যা কম ছিল, ফলে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও সুপারভাইজারদের মধ্যে কিছুটা ঝগড়াও হয়েছিল। গুলিস্তান ফ্লাইওভারের পাশ দিয়ে চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের সুপারভাইজার জাহেদুল বলেন, “ঈদ উপলক্ষে ৫ টাকা ভাড়া নিচ্ছি, অনেক যাত্রী সেটা দিচ্ছেন, কিন্তু কিছু যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি নন, তাদের সাথে ঝগড়া হচ্ছে।” একই সমস্যা দেখা গেছে ভিক্টর ও শিকড় পরিবহনে। এছাড়া, সড়কগুলোতে কিছু দূরপাল্লার বাসও চলছিল এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রাজধানীর অলিগলি ও প্রধান সড়কে দ্রুত চলতে দেখা গেছে।

গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে কিছুটা ভিড় ছিল। ১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সেখানে নগরবাসী তাদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন রাইড উপভোগ করছিলেন। পার্কে ছিল খাবার ক্যান্টিন, ফুড কোর্ট, পুকুরে প্যাডেল বোট এবং শিশুদের জন্য নানা ধরনের রাইড। যাত্রাবাড়ী থেকে আসা শাহ আলম বলেন, “অনেক গরমের মধ্যে দুই সন্তানকে আনন্দ দিতে এখানে নিয়ে এসেছি, তারা ভালো উপভোগ করছে।” একজন টিকেট বিক্রেতা জানান, “মনোরম পরিবেশের এই পার্কে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম নয়। বিকাল ও সন্ধ্যায় এখানে অনেক বেশি দর্শনার্থী আসে।”

রমনা পার্ক
রাজধানীর রমনা পার্কে নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্থানে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে, কেউ লেকে বোটে ঘুরছিলেন, আবার কেউ গাছের ছায়ায় বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। শান্তিনগর থেকে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে আসা মনির হোসেন জানান, “সন্তানরা শিশুদের জন্য রাইডে খেলছে, আর আমি এবংআমার স্ত্রী লেকের বোটে চড়েছি।”

আরও পড়ুন  ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া

উত্তরা থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, “বন্ধুদের নিয়ে এখানে একটু সময় কাটাতে এসেছি, গাছের ছায়ায় আড্ডা দিতে দিতে বোটে চড়েছি।”

হাতিরঝিল
হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি এবং চক্রাকার বাসে নগরবাসী সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। ব্রিজ ও সবুজের সমারোহে কিছু সময় কাটাতে অনেকেই পরিবার নিয়ে এখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তবে, এবার ভিড় কিছুটা কম ছিল। বনশ্রী থেকে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মো. খালিদ আহমেদ বলেন, “দুই মেয়েকে নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছি, তাদেরকে এখানে কৃত্রিম হাতি দেখিয়েছি এবং ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়েছি। ভিড় কম ছিল, তাই স্বস্তির সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।”

মহাখালী থেকে আসা কামরুজ্জামান জানান, “কোনো লাইন ছাড়াই ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠেছি, মানুষের উপস্থিতি কম, গরমের কারণে ভিড় ছিল না।

 

WhatsApp
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
Telegram