| ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত

সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত

নলছিটিতে ছাত্রদলের আয়োজনে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মার্চ (বুধবার) তালতলা বিজি ইউনিয়ন একাডেমির মাঠে সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া ও মোনাজাতের পূর্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জনাব তৌহিদ আলম মান্না, সদস্য সচিব মো. সাইদুল কবির রানা, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. সুজন খানসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. সজল তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মিজানুর রহমান বাবলু তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুল ইসলাম তারেক, মো. জাহিদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ফয়সাল খানসহ আরও অনেকে।

এসময় অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং সুবিদপুর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম শাহীন তালুকদারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়

জুলাই যো’দ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড়: আদর্শচ্যুত নেতৃত্বে আস্থাহীনতা

সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল ‘জুলাই আন্দোলনের’ ছাত্রনেতারা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের মধ্য থেকেই অনেকে জড়াচ্ছেন চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মতো অপরাধে। এতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাদের নেতৃত্ব, আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতা ও অর্থের মোহে অনেকেই আদর্শচ্যুত হচ্ছেন। যারা একদিন জাতিকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তারাই এখন অভিযোগের মুখে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্লোভ থাকার পরীক্ষায় ফেল করেছে কিছু জুলাই যোদ্ধা। বয়স, অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ভারসাম্য না থাকায় তারা রাজনীতির চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছে।”

অন্যদিকে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন মনে করেন, “ক্ষমতার আগে অভিজ্ঞতা জরুরি। এখনই নেতৃত্বে যেতে চাওয়ার লোভ অনেককে ধ্বংস করছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিভক্তি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে।”

এই বাস্তবতা অস্বীকার করেন না জুলাই আন্দোলনের অনেকে। তাদের বক্তব্য, সবাই নয়, কিছু ব্যক্তি দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, যারা আদর্শের নয় বরং ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “সরকারের উচিত ছিল দায়িত্বশীল অভিভাবকসুলভ ভূমিকা রাখা। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেই সহযোগিতা পাইনি। যদিও সত্য অভিযোগ আছে, তেমনি প্রচার-প্রচারণার প্রোপাগান্ডাও রয়েছে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, “বিপ্লবের পর সংগঠন গড়ে না তোলার ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। কেউ কেউ দুর্নীতির সাথেও জড়িয়েছে, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”

উল্লেখ্য, এনসিপি গঠনের পর থেকেই জুলাই যোদ্ধারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত হন। এর প্রভাবে তাদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে গড়ে ওঠা ভাবমূর্তি ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

তবে জুলাই হিরোদের দাবি, সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় অভিভাবকসুলভ ভূমিকা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীল আচরণ পেলে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক এড়ানো যেতো।

ইমরান খানের দলের ১০৮ নেতাকর্মীর কা’রা’দণ্ডপি টিআইর প্রতিবাদ

সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত

ইমরান খান : ছবি-সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর ১০৮ নেতাকর্মীকে সাম্প্রতিক এক রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ইমরান খান গ্রেপ্তার হন। এরপর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতা। সেনা ক্যাম্প ও সরকারি স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটে অন্তত ১০ জনের। ওই ঘটনার পর থেকেই পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় দমনপীড়ন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ঘোষিত রায়ে, বিরোধীদলীয় নেতা ও ইমরানপন্থী রাজনৈতিক জোটের মুখপাত্র ওমর আইয়ুব খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পিটিআইয়ের ছয়জন সংসদ সদস্যকে তাদের আসন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত।

এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পিটিআই। এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, “পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্যের কারণে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”

দলটি আরও জানায়, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।

এই রায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে এমন সময় যখন ইমরান খান কারাবন্দি এবং দেশজুড়ে তার দলের ওপর চলছে কঠোর চাপ।

বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান

সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত

ডা. শফিকুর রহমান : ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ায় তাকে বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমীরসহ দলের শীর্ষ নেতারাও তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা ধরা না পড়লেও, ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে তিনটি গুরুতর এবং দুটি আংশিক ব্লক। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গুরুতর ব্লকগুলো অপসারণে বাইপাস সার্জারি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও, ডা. শফিকুর রহমান দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন এবং সার্জারির পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট জানানো হবে।

×