| ২০ জুন ২০২৫

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল বর্তমানে তাদের রোগীদের জন্য নতুন একটি ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করেছে, যা আগের জটিল এবং সময়সাপেক্ষ টিকেট কাটার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে, রোগীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই তাদের পছন্দ অনুযায়ী সময় নির্বাচন করতে পারবেন এবং সেই সময়ের জন্য টিকিট কাটতে পারবেন।

কীভাবে কাজ করে এই নতুন সিস্টেম?

  1. ই-টিকেটিং সাইটে রেজিস্ট্রেশন:
    কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সাইটে প্রবেশ করে প্রথমে রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে রোগী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন নাম, যোগাযোগের তথ্য, এবং রোগীর সমস্যা বা চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করবে।

  2. টাইম স্লট নির্বাচন:
    রোগী তার পছন্দ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট টাইম স্লট বেছে নিতে পারবেন। এটি রোগীর জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে, কারণ আগে অনেক সময় ডাক্তার দেখাতে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, যা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।

  3. টিকিট প্রিন্ট:
    নির্বাচিত সময় এবং ডাক্তারকে নিশ্চিত করার পর, রোগী ই-টিকেট সিস্টেমে টিকিট পেতে পারবেন। এটি তারা প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে আসতে পারবেন, অথবা হাসপাতালের তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

  4. ডাক্তারের রুমে প্রবেশ:
    টিকিট হাতে নিয়ে রোগীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। তবে, ঠিকই ডাক্তারের রুমের সামনে কিছুটা লাইন থাকতে পারে, কারণ নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কিছু রোগী আসবেন। তবে, এই ব্যবস্থা রোগীকে আরও সহজ করে দেবে, কারণ তারা লাইনে দাঁড়ানোর পরিবর্তে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ডাক্তার দেখাতে পারবেন।

  5. সহজতা এবং সুবিধা:
    এই সিস্টেমের অন্যতম বড় সুবিধা হলো রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী সময় এবং আরও দ্রুত সেবা। আগে যেখানে দীর্ঘ লাইন এবং অপেক্ষার সময় ছিল, এখন ই-টিকেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে রোগী আগেই নির্ধারিত সময় নিয়ে দ্রুত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল তাদের সেবা আরও উন্নত এবং রোগীদের জন্য আরো সুবিধাজনক করে তুলেছে। এটি হাসপাতালের কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল এবং সহজতর করবে, এবং রোগীদের আরও সন্তুষ্ট করবে।

মুন্সীগঞ্জে জাতীয় ফল মেলা শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

দেশী ফল সবাই খাই-আসুন ফলের গাছ লাগাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ১৯ জুন‌ বৃহস্প্রতিবার  মুন্সীগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত।

পরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্তের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ন কবীর,মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান।

এসময় জেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

ক্রমাগত বন নিধনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে কার্বন সংরক্ষণ, বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বাঁধ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে ১ একর ৪৪ শতক জমিতে বনায়ন তৈরির লক্ষ্যে লিডার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ -এর যৌথ উদ্যোগে একটি “সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপকূলীয় উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস. এম. দেলোয়ার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্যামনগরের সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জীব কুমার গাইন, বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের ফরেস্টার সজল মজুমদার প্রমুখ।

লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং কর্মসূচি পরিচালক এ. বি. এম. জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ শওকৎ হোসেন, টিম লিডার রেখা খাতুন, অসিত মণ্ডল, লায়লা খাতুন, প্রকল্পের হিসাবরক্ষক মিলন মণ্ডল, টেকনিক্যাল অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন,নদীর চরে বনায়ন তৈরি বাধ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে উৎপাদিত গাছগুলো বাঁধকে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষা দেবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি নদীর চর ও বাঁধ এলাকায় টেকসই বনায়ন গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।

লিডার্সের এ উদ্যোগ পরিবেশ ও প্রতিবেশ, বাঁধ সংরক্ষণ, জীব বৈচিত্র সুরক্ষা এবং নদীর চরে টেকসই বনায়ন গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে অন্যানারা আশা প্রকাশ করেন।

শ্যামনগরে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

**কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের নতুন ই-টিকেটিং সিস্টেম: সহজ ও দ্রুত চিকিৎসা সেবা**

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) সকালে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার আয়োজনে এবং এএলআরডির সহযোগীতায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুন। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য রনজিৎ বর্মন , সিডিওর নির্বাহী পরিচালক গাজী আল-ইমরান।

দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু দাবী সমূহ তুলে ধরা হয়। দাবী সমূহ হল- ভূমিহীন আদিবাসী ও জেলেদের সম্প্রদয়ের মাঝে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া, সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে নারী ও প্রতিবন্ধী বান্ধব করে গড়ে তোলা, আদিবাসী ও জেলে পরিবার গুলোতে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আদিবাসী ও দলিত প্রতিনিধি নিশ্চিত করা, প্লাষ্টিক দূষণ রোধে পারিবারিক ও সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা, সুন্দরবন উপকূলের দাতিনাখালী সাইক্লোন শেল্টার স্থাপন করা সহ অন্যান্য দাবী।

সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ডার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোমিনুর রহমান, রামপ্রসাদ মুন্ডা, পুষ্প রানী, বিভিন্ন এলাকার মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ প্রমুখ।

×