| ৩ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল

ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল

নলছিটি প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নলছিটি শহরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আলেম-ওলামাদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।

মিছিলটি নলছিটি শহরের মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করো’, ‘ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরাইলি পণ্য বয়কট করো’এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় আলেম-ওলামারা বক্তব্য দেন। বক্তারা ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু, নারী, বৃদ্ধ নির্বিশেষে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

এসময় বক্তারা ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান এবং বিশ্ব নেতাদের প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সমাবেশে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও সংহতি প্রকাশ করেন।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

 

শাহবাগের ঘটনার প্রতি ব্যথিত এ্যানি ঐক্যের আহ্বান জানালেন বিএনপির নেতা

ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি : ছবি-সংগৃহীত

শাহবাগে জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে-বিপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা হিসেবে দেশের সবাই সম্মানিত। কিন্তু কারও নামে এই সম্মানকে কলুষিত করা দুঃখজনক। এতে জনগণ আহত হয়, আর ফ্যাসিস্ট শক্তি সেই সুযোগ নেয়।’

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ্যানি আরও বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ঐক্য না হলে আমরা সবাই আবার নির্যাতনের শিকার হব। আমি-আপনি নির্যাতিত হওয়া আর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালানো এক কথা নয়। আমাদের কারণে যেন জনগণ কষ্ট না পায়।”

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চলুন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসি এবং একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করি।”

লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সরকারি কৌঁসুলি আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মোশাররফ করিমের অভিনয় ছাড়ার ভাবনা বিকল্প পেশা হিসেবে ভাবছেন সাংবাদিকতাকে

ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল

মোশাররফ করিম : ছবি-সংগৃহীত

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মোশাররফ করিম। মঞ্চ, নাটক, ওটিটি এবং চলচ্চিত্র—সব মাধ্যমেই সফলভাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে মাঝে মাঝে তার মনে হয়, অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, “অনেক সময় মনে হয় অভিনয় ছেড়ে দেব। কিন্তু কিছুদিন ঘরে বসে থাকলেই মন টেকে না। ১০-১২ দিনের বেশি অভিনয় ছাড়া থাকতে পারি না। তখন মনে হয় ভুল ভাবছিলাম।”

তিনি জানান, অভিনয়ের বাইরে অন্য কোনো চাকরি করার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তবে তার ভেতরে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি একটা টান সবসময়ই ছিল। এ নিয়ে তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা করতে ইচ্ছা করে। অনেক আগে থেকেই ভাবি, তারিক ভাইয়ের (তারিক আনাম খান) কিংবা হায়াত ভাইয়ের (আবুল হায়াত) ইন্টারভিউ নিই। সেই আগ্রহটা এখনও আছে।”

মোশাররফ সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র বিকল্প পেশা হিসেবে নয়, বরং এক ধরনের সৃজনশীলতা হিসেবেই দেখেন। “সাংবাদিকতার মাধ্যমে নতুন মানুষকে আবিষ্কার করা যায়, অন্যের ভাবনা জানা যায়। এটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেকে এবং অন্যদের সমৃদ্ধ করার পথ,”—বলেন এই অভিনেতা।

এদিকে, মোশাররফ করিম অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবর্ত-দ্য সার্কেল’ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘৮ম বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ডালাস ২০২৫’-এ প্রদর্শিত হবে। মাহমুদুল হাসান টিপুর পরিচালনায় এই ছবিতে মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তার স্ত্রী রেবেনা রেজা জুঁই।

রায়েরবাজারে ১১৪ অজ্ঞাত জুলাই শহীদের গণকবর ডিএনএ টেস্টে শনাক্তের উদ্যোগ

ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী : ছবি-সংগৃহীত

রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাতনামা ১১৪ জন শহীদের গণকবর রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে গণকবর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি পরিবারগুলো চায়, তাহলে মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন অনেকে এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”

তিনি আরো জানান, “১১৪ শহীদের মরদেহ গণকবরে সমাহিত রয়েছে, যাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শনাক্তের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবার চাইলে মরদেহ অন্যত্র সরিয়েও নিতে পারবে।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কবরস্থানের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “কতটা দুঃখজনক যে দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের কবরস্থানে দুর্নীতি হচ্ছে! ইট ও সুড়কির মান খুবই খারাপ। সাংবাদিকদের উচিত এসব দুর্নীতির খবর তুলে ধরা।”

এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নির্মাণে দুর্নীতিতে যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় আনা হবে।”

এছাড়া মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেশবিরোধী কোনো চক্রান্ত হলে, কিংবা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোনো অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

×