| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

শ্রীমঙ্গলে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হজমটিলা থেকে

শ্রীমঙ্গলে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হজমটিলা থেকে

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে হজমটিলায় পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। বিকেল চারটায় রওনা দিয়ে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ আমরা হজমটিলায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম। প্রায় আধা ঘণ্টা হজমটিলার প্রকৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে সুয্যিমামা বিদায় নিল। আমরাও হজমটিলাকে বিদায় জানালাম। ঘড়িতে তখন ৬টা ৩৭ মিনিট।টিলা পাড়ি দিতে হবে। সবাই ক্লান্ত বোধ করলেও অল্পের জন্য কেউই মনোবল হারাতে নারাজ। তাই ১০-১২ মিনিটের মধ্যে সামনের উঁচু–নিচু টিলা পাড়ি দিয়ে সবাই পৌঁছে গেলাম আমাদের গন্তব্যে। জায়গাটার নাম হজমটিলা। ঘড়ির কাঁটা তখন ছয়টা ছুঁই ছুঁই। তখনো কিন্তু সুয্যিমামা তার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলগুলো এক পাশে রেখে তড়িঘড়ি যে যার মতো ছবি তোলা শুরু করে দিলাম। চারপাশের দৃশ্যটা নিজ চোখে না দেখলে আসলে লেখায় বোঝানো মুশকিল। এককথায়, যত দূর চোখ যাচ্ছিল শুধু সবুজ আর সবুজ। খুব কাছেই ভারত সীমান্ত। সন্ধ্যা নামার পর নাকি সীমান্তের ওপারের বাড়িঘরের ঝলমলে আলো স্পষ্ট দেখা যায়। জানতে পারলাম, সীমান্তের ওপারের এলাকার নাম ‘মনাইবাড়ি’। হরিণছড়া দিয়ে এলেও হজমটিলার এই জায়গা পার্শ্ববর্তী বিদ্যাবিল চা–বাগানের আওতাধীন। কেউ চাইলে এদিক দিয়ে না এসে রাজঘাট, বিদ্যাবিল হয়ে ঘুরেও হজমটিলায় আসতে পারবে। টিলার ওপর নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও এমনিতে এসব এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়াটা সহজ নয়।

একে একে কয়েকটি টিলা পাড়ি দিয়ে যেতে হয় হজমটিলায়ছবি: লেখক

একে একে টিলা পাড়ি দিয়ে এবার নিচে নামার পালা। ওঠার চেয়ে নামাটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সাবধানে প্রথমে মোটরসাইকেল চালিয়ে নামানো হলো। তারপর একে একে আমরা। টিলার নিচে নামতেই চা–বাগানের ঝিঁঝিপোকার ডাক
শুনতে পেলাম। চা–বাগানের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় চোখে পড়ল, মাঠ থেকে গরুর পাল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন রাখালেরা। রান্নার জন্য লাকড়ি ও গরুর জন্য ঘাস নিয়ে ফিরছেন দিনমজুর। মাঠে খেলছেন একদল তরুণ।

মাঠ পেরিয়ে চা–বাগানের বসতি এলাকায় ঢুকতে ঢুকতে বাড়ি বাড়ি বৈদ্যুতিক বাতির আলো জ্বলে উঠল। হারিকেন বা কুপিবাতির আলো এখন এ রকম সীমান্ত এলাকার জন্যও অতীত হয়ে গেছে। হরিণছড়া এলাকাটি পার হতে অন্ধকার আমাদের ঘিরে ধরল। আমাদের প্রতিটি মোটরসাইকেলের হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখতে হলো। পথেই সিদ্ধান্ত হলো, কেজুরীছড়া দুর্গামন্দিরের পাশে বিশ্বজিতের দোকানে ডালপুরি, পেঁয়াজু খাওয়া হবে। বিশ্বজিতের দোকানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সাতটার বেশি বেজে গেল। পাশের টিউবওয়েলে সবাই হাত–মুখ ধুয়ে ঠান্ডা পানি খেয়ে চেয়ারে বসতে না বসতেই গরম গরম ডালপুরি, পেঁয়াজু হাজির। ভেজে আনতে না আনতে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। এ রকম চলল চার–পাঁচ রাউন্ড। খাওয়াদাওয়া শেষ করে আটটার দিকে আবার যাত্রা শুরু করা গেল। চারপাশে বিভিন্ন যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে আসছে–যাচ্ছে। আমরাও থেমে নেই। একে একে কেজুরীছড়া, ফুসকুড়ি, জানাউড়া, কালীঘাট, ফুলছড়া হয়ে রামনগর এসে থামলাম। এবার যে যার মতো করে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হব।

মোটরসাইকেল ছাড়াও শ্রীমঙ্গল থেকে হজমটিলা যেতে পারেন সিএনজি অটোরিকশায়
মোটরসাইকেল ছাড়াও শ্রীমঙ্গল থেকে হজমটিলা যেতে পারেন সিএনজি অটোরিকশায়ছবি: লেখক

যাতায়াত ও খরচ: শ্রীমঙ্গল শহরের কালীঘাট রোড পয়েন্টে গেলে হরিণছড়া চা–বাগানগামী অনেক সিএনজি পাবেন। হরিণছড়া ধুপঘর পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৬০ টাকা। হরিণছড়ার মাঠ পেরিয়ে হজমটিলার রাস্তার মুখ পর্যন্ত গেলে ৭০ টাকা। সিএনজি রিজার্ভ নিলে ৩০০ টাকা। বেশি মানুষ হলে জিপগাড়ি ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন। সারা দিন চুক্তিতে গেলে তারা ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বললেও এসব জায়গার জন্য নিলে কথা বলে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় মানাতে পারবেন। তাঁদের হরিণছড়া মাঠ পেরিয়ে হজমটিলায় যাওয়ার প্রবেশমুখে নামিয়ে দিতে বলবেন।

যা যা দেখে আসতে পারেন: শ্রীমঙ্গল থেকে হজমটিলার উদ্দেশে সকাল সকাল রওনা দিয়ে দিতে পারলে একসঙ্গে কয়েকটি জায়গা ঘুরে আসতে পারবেন। হরিণছড়ায় ঢোকার আগে কেজুরীছড়ায় ডিনস্টন সিমেট্রি দেখে যেতে সব মিলিয়ে বড়জোর ২০-২৫ মিনিট লাগবে। তারপর হজমটিলার উদ্দেশে হরিণছড়া হয়ে যাওয়ার সময় জপমালা রানী মা মারিয়ার তীর্থস্থানটি দেখে যেতে পারেন। বের হয়ে হরিণছড়া খেলার মাঠের বাঁ পাশের রাস্তা দিয়ে ঝাউবনটা দেখে বের হতে পারেন। তারপর সোজা রাস্তা ধরে হজমটিলায় চলে যেতে পারেন।

গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

শ্রীমঙ্গলে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হজমটিলা থেকে

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ছামিউল ইমাম আযম মনিরের সভাপতিত্বে ও গাজী আল ইমরানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা কামাল, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, রিপোর্টাস ক্লাবের আহবায়ক জি এম খলিলুর রহমান, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম ইমন, সিনিয়র সাংবাদিক প্রকৌশলী আফজালুর রহমান, হুসাইন বিন আফতাব সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ভিডিও ধারণের অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ‌।

শ্যামনগরের সাংবাদিক সমাজ চাঁদাবাজি, দূর্নীতি ও সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

মানববন্ধনে শ্যামনগরের শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় পাতার বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধ সহ অন্যান্য মালামাল আটক

শ্রীমঙ্গলে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হজমটিলা থেকে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পাতা বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) গভীর রাত থেকে ভোরের দিকে উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের খাল এলাকায় কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ইফতেখারের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ১৫ বস্তা মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ক্যান্সারের ওষুধের মধ্যে রয়েছে, KI Malam , B-Tex , Deferasirox , Baat Ki Dawa , Meltiioxsalen এবং Valgan ।

এছাড়া জব্দকৃত অবৈধ ভারতীয় পাতা বিড়ির মধ্যে রয়েছে,বিড়ি ৬৬ হাজার ৪০০ পিস, বাপ্পা বিড়ি ১০ লাখ পিস এবং চাচা বিড়ি ১ লাখ ৩৪ হাজার পিস। মোট ১২ লাখ ৮০০ পিস বিড়ি উদ্ধার হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষাধিক টাকা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কৈখালী গ্রামের আজিজুল হক (৩৮), ভেটখালী গ্রামের আশরাফ হোসেন (২৮), বোষখালী গ্রামের সোবহান মোল্লা (৪০) এবং কৈখালী গ্রামের মোঃ দেলোয়ার (৪৮)।

অভিযান শেষে আটককৃত আসামি ও জব্দ মালামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তারেক রহমানই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য

শ্রীমঙ্গলে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হজমটিলা থেকে

৯ আগস্ট ২০২৫ – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর জাতীয় কাউন্সিলে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেছেন, তারেক রহমানই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। তার এসব কথা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

বক্তব্যের শুরুতে মির্জা ফখরুল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বিদ্যমান পারস্পরিক হিংসার ‘কালচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের এই কালচার থেকে বেরিয়ে এসে সংলাপ ও ঐক্যের পথ ধরতে হবে।

সরকারের নানান নীতির সমালোচনা করে তিনি বিশেষ করে ওষুধ শিল্প নীতি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের মৌলিক সব অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

এছাড়া গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি বিশেষ আহ্বান জানান। তার ভাষ্য, আন্দোলনে আহত মানুষের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এসব আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি একাধিকবার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের সুরক্ষা আমাদের অঙ্গীকার।

×