| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করল রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করল রাশিয়া

পশ্চিমা দেশগুলো আসলে আগুন নিয়ে খেলছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তা শুধু ইউরোপে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া।

৬ আগস্ট থেকে রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ করে ওই অঞ্চলের একটি অংশের দখল নিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভূখণ্ডে এটাই বিদেশি কোনো বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়া এর সমুচিত জবাব দেবে।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, বিদেশ থেকে পাওয়া অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য পশ্চিমাদের কিয়েভের অনুরোধ বিবেচনায় নেওয়া ঠিক হয়নি। এটা করে তারা যুদ্ধের ব্যাপকতা আরও বাড়াতে চাইছে এবং ‘বিপদ ঘাড়ে তুলে নিচ্ছে’।

২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। তখন থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো জড়িয়ে পড়লে এ যুদ্ধ আরও বড় আকার নেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। তবে তিনি বলেছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধ জড়াতে চায় না।

গতকাল মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ বলেন, ‘আমরা আরও একবার নিশ্চিত করে বলছি, ছোট শিশুরা যেভাবে দেশলাই বাক্স নিয়ে খেলে, সেভাবে আগুন নিয়ে খেলা প্রাপ্তবয়স্ক চাচা-খালাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।’

তিনি আরও বলেন, আমেরিকানরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ–সংক্রান্ত যেকোনো আলাপকে বিতর্কিতভাবে ইউরোপের ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে দেখে। অর্থাৎ তারা ভাবে, ঈশ্বর না করুন, এটা যদি ঘটে, কেবল ইউরোপই তার ফল ভোগ করবে।

রাশিয়া তার পারমাণবিক নীতি (ডকট্রিন) আগেই পরিষ্কার করেছে বলেও জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট কখন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাববেন, সে বিষয়ে রাশিয়ার ২০২০ সালের পারমাণবিক নীতিতে স্পষ্ট করে বলা আছে। মোটাদাগে, যখন দেশটি পারমাণবিক অথবা গণবিধ্বংসী অস্ত্রে হামলার শিকার হবে, যখন দেশটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ মাসের শুরুর দিকে বলেছিলেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলা দেখিয়ে দিয়েছে, ক্রেমলিনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি আদতে ভাঁওতা।

মিত্রদের দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে ইউক্রেন রাশিয়ার কিছু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে পারছে না বলেও জানান তিনি। যুদ্ধে কিয়েভকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মিত্রদের আরও সাহসী হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়া বলেছে, ব্রিটিশ ট্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রের রকেটব্যবস্থাসহ কুরস্ক অঞ্চলে অভিযানে ইউক্রেন পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিয়েভ কুরস্কে সেতু উড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের এইচআইএমএআরএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ওয়াশিংটন থেকে বলা হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আকস্মিক অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এই অভিযানের সঙ্গে তারা কোনোভাবে জড়িত না বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া। পুতিনের বৈদেশিক গোয়েন্দাপ্রধান সের্গেই নারিশকিন গতকাল বলেছেন, কুরস্ক আক্রমণের বিষয়ে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা না থাকার যে দাবি পশ্চিমারা করছেন, মস্কো তা বিশ্বাস করে না।

রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অবশ্যই’ জড়িত।

গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করল রাশিয়া

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ছামিউল ইমাম আযম মনিরের সভাপতিত্বে ও গাজী আল ইমরানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা কামাল, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, রিপোর্টাস ক্লাবের আহবায়ক জি এম খলিলুর রহমান, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী ইসলাম ইমন, সিনিয়র সাংবাদিক প্রকৌশলী আফজালুর রহমান, হুসাইন বিন আফতাব সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ভিডিও ধারণের অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ‌।

শ্যামনগরের সাংবাদিক সমাজ চাঁদাবাজি, দূর্নীতি ও সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

মানববন্ধনে শ্যামনগরের শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় পাতার বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধ সহ অন্যান্য মালামাল আটক

যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করল রাশিয়া

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পাতা বিড়ি ও ক্যান্সারের ওষুধসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) গভীর রাত থেকে ভোরের দিকে উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের খাল এলাকায় কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ইফতেখারের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ১৫ বস্তা মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ক্যান্সারের ওষুধের মধ্যে রয়েছে, KI Malam , B-Tex , Deferasirox , Baat Ki Dawa , Meltiioxsalen এবং Valgan ।

এছাড়া জব্দকৃত অবৈধ ভারতীয় পাতা বিড়ির মধ্যে রয়েছে,বিড়ি ৬৬ হাজার ৪০০ পিস, বাপ্পা বিড়ি ১০ লাখ পিস এবং চাচা বিড়ি ১ লাখ ৩৪ হাজার পিস। মোট ১২ লাখ ৮০০ পিস বিড়ি উদ্ধার হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষাধিক টাকা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কৈখালী গ্রামের আজিজুল হক (৩৮), ভেটখালী গ্রামের আশরাফ হোসেন (২৮), বোষখালী গ্রামের সোবহান মোল্লা (৪০) এবং কৈখালী গ্রামের মোঃ দেলোয়ার (৪৮)।

অভিযান শেষে আটককৃত আসামি ও জব্দ মালামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তারেক রহমানই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করল রাশিয়া

৯ আগস্ট ২০২৫ – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর জাতীয় কাউন্সিলে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেছেন, তারেক রহমানই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। তার এসব কথা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

বক্তব্যের শুরুতে মির্জা ফখরুল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বিদ্যমান পারস্পরিক হিংসার ‘কালচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের এই কালচার থেকে বেরিয়ে এসে সংলাপ ও ঐক্যের পথ ধরতে হবে।

সরকারের নানান নীতির সমালোচনা করে তিনি বিশেষ করে ওষুধ শিল্প নীতি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের মৌলিক সব অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

এছাড়া গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি বিশেষ আহ্বান জানান। তার ভাষ্য, আন্দোলনে আহত মানুষের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এসব আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি একাধিকবার দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের সুরক্ষা আমাদের অঙ্গীকার।

×