| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

ইমাম মালেক (রা.) ছিলেন তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞজনদের একজন। তিনিই সেই ইমাম, যিনি চার মাজহাবের একটি ‘মালেকি মাজহাব’ প্রবর্তন করেছিলেন। ফিকহ তথা কোরআনের নিয়মকানুন সম্পর্কে তাঁর এত গভীর জ্ঞান ছিল যে তিনি কোনো বিষয়ে ফতোয়া জারি করতে পারতেন।

ইমাম মালেক (রা.) একদিন আসরের পর মসজিদে এলেন। কিছুক্ষণ পরই মাগরিবের আজান দেবে। মসজিদে আসার পর তিনি বসে পড়লেন। মালেকি মাজহাব অনুযায়ী আসরের নামাজের পর মাগরিবের আগ পর্যন্ত কোনো নামাজ পড়ার বিধান নেই। তিনি এটাই বিশ্বাস করেন এবং তাঁর মতে এটাই সঠিক নিয়ম।

এদিকে একটি ছোট ছেলে ইমাম মালেক (রা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আপনি মসজিদে এসেছেন অথচ আদব শেখেননি। মসজিদে আসলে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়।’ এই বলে সে হাদিসের বই খুলে দেখাতে লাগল। সে বলল, ‘এই দেখুন হাদিস।’ অথচ সে তখনকার সবচেয়ে বড় মুহাদ্দিসের সঙ্গে কথা বলছিল।

ছেলেটির কথা শুনে ইমাম মালেক (রা.) কোনো কথাই বললেন না, তিনি দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নিলেন।

এতক্ষণ মসজিদের সবাই এই কাণ্ড দেখছিল। সবাই জানে মসজিদে এসে মাগরিবের আগে নামাজ পড়া উচিত না, এটি তাদের মাজহাবে নেই। অথচ ইমাম নিজেই নামাজ পড়তে শুরু করেছেন।

ইমাম মালেকের অনুসারীরা তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘ছেলেটি যখন আমাকে নামাজের কথা বলল, তখন হঠাৎ আমার একটি আয়াত মনে পড়ে গেল।’ ‘যখন তাদের বলা হতো, নত হও। তারা নত হতো না।’ (সুরা মুরসালাত, আয়াত: ৪৮) ইমাম মালেক বলেন, ‘আমি জানি এই সময় নামাজ পড়ার নিয়ম নেই, তবে আমার ভয় হলো, আমি যদি সেই ছেলের কথা না রাখি, তাহলে আল্লাহ আমাকে একদিন এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন যে নামাজের কথা বলার পরও আমি নামাজ পড়িনি কেন।’ এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ইমাম মালেক (রা.) ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তিনি চাইলে সেই ছেলেকে উচিত শিক্ষা দিতে পারতেন। তাকে তার ভুল ধরিয়ে দিতে পারতেন। তিনি এমনটা করেননি। তিনি উল্টো নিজের ভুলের কথা ভেবেছেন, যা প্রকৃত জ্ঞানীর আচরণ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা মানুষের উপদেশ গ্রহণ করতে চান না। বিশেষ করে ভালো কোনো উপদেশ যদি ধমকের সুরে দেওয়া হয়, তখন আমরা রেগে যাই। আমরা মেনে নিতে পারি না। অথচ ইমাম মালেক (রা.) এত উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন যে তিনি ছোটদের উপদেশকেও গুরুত্ব দিয়ে শুনতেন।

গাজায় ত্রাণ পাঠাবে জার্মানি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ঘোষণা দিয়েছেন, জার্মানি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাবে এবং এতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অংশ নেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াসের নেতৃত্বে এই সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে।

মের্ৎস বলেন, “এটি গাজার মানুষের জন্য খুবই সামান্য হলেও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান।”

এদিকে, স্পেনও গাজায় প্যারাশুটের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো জানান, জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয়ে আগস্টের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৫,০০০ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, “এই প্যারাশুট ড্রপ সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো, কিন্তু এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, যেন জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে স্থলপথে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়।

মানুষের কল্যাণে না এলে সংস্কারের মূল্য নেই: মির্জা ফখরুল

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

মির্জা ফখরুল : ছবি-সংগৃহীত

সংস্কার যদি জনগণের উপকারে না আসে, তাহলে তার কোনো অর্থ নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই উচ্চপদে গেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কেউ স্মরণ করে না। শহীদ পরিবার বা নিখোঁজদের জন্য সরকার কিছুই করেনি।”

ফখরুল আরও বলেন, “গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, জানি না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে না দাঁড়ালে আমরাও দায়ী থাকব।”

তিনি জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়লেও বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার ৬ জন আসামিকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং সাবেক এএসআই আমির হোসেন।

এর আগে, সোমবার প্রথম দিনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও পুলিশ মিলে আবু সাঈদকে হত্যা করে। পরে, উল্টোভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সাঈদের সহযোদ্ধাদের।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আসল ঘটনা আড়াল করতে বারবার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পরিবর্তন আনা হয়।”

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশন। ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল থেকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৪ জনকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

মোট ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

×