| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

মৃত্যু থেকে পালিয়ে থাকার কোনো অবকাশ নেই। মৃত্যু আসবেই। নেই চিরদিন বেঁচে থাকার কোনো উপায় । আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাতে চাও, সে মৃত্যুর সামনাসামনি হতেই হবে। তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে অদৃশ্য ও  দৃশ্যের  পরিজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে আর তোমাদের জানিয়ে দেওয়া হবে যা তোমরা করতে ।’ (সুরা জুমআ, আয়াত: ৮)

আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে থাকলেও, আর তাদের ভালেো হলে তারা বলে এ আল্লাহর কাছ থেকে আর তাদের কোনো মন্দ্ হলে তারা বলে এ তোমার জন্য বলো সবই আল্লাহর কাছ থেকে  ।’ এ –সম্প্রদায়ের  কী হয়েছে যে এরা একেবারেই কোনো কথা বোঝেনা। (সুরা নিসা, আয়াত: ৭৮)

মৃত্যু ঘটবে। তবে কার কখন মৃত্যু হবে, কীভাবে মৃত্যু ঘটবে—তা কারও জানা নেই। হাদিসে আছে, ‘মানুষের চোখের দুই ভ্রুরুর মাঝখানে মৃত্যুর তারিখ লেখা রয়েছে। কিন্তু তা কোনো মানুষই দেখতে পায় না।’ (আল হাদিস)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘কখন কেয়ামত হবে; তা কেবল আল্লাহই জানেন। তিনিই বৃষ্টিবর্ষণ করেন আর তিনি জানেন যা  জরায়ুতে আছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন  করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে তার মৃত্যু হবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব বিষয়ই তার জানা।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ৩৪)

মৃত্যু হবে। মরণ আসবেই। তবে অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই। আমরা অনেক সময় অনেকের ক্ষেত্রেই বলে থাকি, তার অকালমৃত্যু ঘটেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ‘অকালমৃত্যু’ বলতে কোনো কিছু নেই। কারণ, সবার মৃত্যুর দিনক্ষণ-তারিখ সবকিছু পূর্বেই নির্ধারিত। নির্ধারিত সময়েই মৃত্যুবরণ করেন সবাই। নির্দিষ্ট সময়ের একমুহূর্ত আগে বা পরে কারও মৃত্যু হয় না। একেকজন মানুষ বা প্রাণী একেক সময় মৃত্যুবরণ করলেও প্রত্যেকের মৃত্যুর সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট।

কোরআনে এসেছে, সাবধানীরা থাকবে ঝরণাভরা জান্নাতে ।  (সুরা হিজর, আয়াত: ৪৫)

মৃত্যু বা জগৎ রূপান্তরের দুটি অবস্থা রয়েছে। এক. ভালো মৃত্যু। দুই. মন্দ মৃত্যু। কারও মৃত্যু হবে সহজ-সুন্দর এবং কারও মৃত্যু হবে কঠিন-ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি দেখতে পেলে  মত্যুর সময় ফেরেশতরা  অবিশ্বাসীদের  মুখে  ও পিঠে আঘাত করে তাদের প্রান  কেড়ে নিচ্ছে আর  বলছে তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ করো।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৫০)

আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেছেন,  যাদের মৃত্যু ঘটায় ফেরেশতারা  ওরা পবিত্র থাকা অবস্থায় তাদেরকে ফেরেশতারা বলকে তোমাদের ওপর শান্তি । তোমরা যা করতে তার জন্য তোমরা জান্নাতে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৩২)

যখন মৃত্যু উপস্থিত হবে, তখন মানুষের অন্তরের চোখ খুলে যাবে। সে তখন ভালো কাজ সম্পাদন করার জন্য আরও সময় কামনা করবে। কিন্তু তাকে আর সময় দেওয়া হবে না।

সামান্য  মুসিবতে পড়লে বলে উঠি, ‘আয় মাবুদ, আমাকে উঠিয়ে নাও। মরণ দাও আমাকে।’ এমনটা বলা একেবারেই উচিত না। মৃত্যু প্রত্যাশা করাকে নিষেধ করা হয়েছে ইসলামে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘বিপদের কারণে তোমাদের কেউ যেন কিছুতেই মৃত্যু প্রত্যাশা না করে। কারও যদি মৃত্যু প্রত্যাশা করতেই হয়, তাহলে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে বাঁচিয়ে রাখো, যতক্ষণ আমার জন্য জীবন কল্যাণকর এবং আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর।’ (বুখারি)।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে মৃ’ত্যু ৩০ ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বেইজিং ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বেইজিংয়ের মিয়ুন জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রাণ হারান ২৮ জন এবং ইয়াংচিং জেলায় আরও ২ জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি।
এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হ্যবেই প্রদেশে ভূমিধসে আরও ৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।

টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও অবকাঠামো। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অন্তত ১৩৬টি গ্রামে। নিরাপত্তার কারণে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু মিয়ুন জেলা থেকেই সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাদামি বন্যার পানি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলছে, এবং রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বেইজিং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল, পর্যটন কেন্দ্র ও ক্যাম্পসাইটের কার্যক্রম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ দুর্যোগকে ‘গুরুতর প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনকে নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তিস্তা প্রকল্পে প্রস্তুত চীন, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই নীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত “ডিক্যাব টক” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী চীন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ কোনো তৃতীয় পক্ষবিরোধী জোট নয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

তিস্তা নদী পুনর্গঠন প্রকল্প প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেন, “এই প্রকল্পে চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা বাংলাদেশের।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে তিনি জানান, রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়, তবে চীন এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—দুই পক্ষের সাথেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

সম্প্রতি ঢাকার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে চীনা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে খুব শিগগিরই চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে এবং চীন এ বিষয়ে আশাবাদী।

×