| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

জান্নাত লাভের উপায় বাতলে দিলেন রাসুল (সা.)

জান্নাত লাভের উপায় বাতলে দিলেন রাসুল (সা.)

হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) নামে একজন সাহাবি ছিলেন। তিনি ছিলেন মদিনা মনোয়ারার একটি মসজিদের ইমাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ইয়েমেনের কাজি হিসেবে নিয়োগ করেন।

মুআজ (রা.) যেদিন কর্মস্থলে রওনা দেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)–ও তাঁকে পায়ে হেঁটে বেশ কিছু পথ এগিয়ে দিতে আসেন। মুআজ (রা.) অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে বললেন, ‘আপনি সওয়ারিতে আরোহণ করুন।’

নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি তোমার প্রতি নয়, তোমার জ্ঞানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।’

নবীজি (সা.) যখন মুআজ (রা.)-কে বিদায় জানাচ্ছিলেন, তাঁকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, ‘হে মুআজ, সম্ভবত আমার সঙ্গে তোমার আর সাক্ষাৎ হবে না।’ বাস্তবে ঘটেছিল তা–ই। হজরত মুআজ (রা.) ইয়েমেন থেকে ফিরে আসেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর।

মুআজ (রা.)–কে বিদায় জানাতে গিয়ে সর দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বক্তব্য দেন।

হজরত মুআজ (রা.) বিদায়কালে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি এমন একটি পথ বাতলে দিন, যাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। জাহান্নাম থেকে নাজাত পেতে পারি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘মুআজ, তুমি আমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছ। আল্লাহ অবশ্য এটি যার জন্য সহজ করে দেন, তার জন্য তা সহজ হয়ে যায়। তুমি কখনো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, রমজানের রোজা রাখবে, জাকাত দেবে আর হজ করবে।’

এর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে থেকেই প্রশ্ন করেন, ‘আমি কি তোমাকে পুণ্যের দরজাগুলোর সংবাদ দেব না?’ বলেই তিনি বললেন, ‘রোজা ঢালের মতো (তা প্রতিটি বিপদ এবং শাস্তিকে প্রতিরোধ করে)। পানি যেমন আগুনকে, সদাকা ঠিক সেভাবে গুনাহ্‌র বিনাশ ঘটায়। তুমি রাতে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়বে।’

এই বলে রাসুল (সা.) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘বলো, তোমরা যদি মৃত্যুর বা নিহত হওয়ার ভয়ে পালাও, তাহলে তোমাদের লাভ নেই আর তোমরা পালাতে পারলেও তোমাদের জীবন ভোগ করতে দেওয়া হবে। বলো, আল্লাহ যদি তোমাদের অমঙ্গল চান, কে তোমাদের রক্ষা করবে আর যদি তোমাদের অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন, কে তোমাদের বঞ্চিত করবে? ওরা আল্লাহ ছাড়া নিজেদের জন্য কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ১৬-১৭)

তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ, আর তার শৃঙ্গ হচ্ছে জিহাদ।’

রাসুল (সা.) আবার প্রশ্ন করলেন, ‘আমি কি তোমাকে এসব জিনিসের সারকথা বলে দেব না?’ তিনি হাত দিয়ে নিজের জিব স্পর্শ করে বললেন, ‘একে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এর কারণেই মানুষকে উল্টোমুখী করে জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হবে।

এর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) জাকাত, প্রশাসন-ব্যবস্থা এবং ফরজের কিছু কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, ‘বিত্তশালীদের কাছ থেকে জাকাত নেওয়া হবে, আর বিত্তহীনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। দেখো, জাকাত–দাতাদের কাছ থেকে তাদের ভালো মালগুলো জোর করে নিয়ে আসবে না। মালুমের আর্তচিৎকার থেকে সব সময় বেঁচে থাকবে। কেননা, আল্লাহ এবং তাদের (আর্তচিৎকারের) মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (তিরমিজি)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর এসব বক্তব্যে জান্নাতে দাখিল হওয়ার এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত পাওয়ার উপায় স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। তিনি জুলুম থেকে দূরে থাকার জন্য বিশেষভাবে সাবধান করে দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এটাই নাজাতের পথ।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

জান্নাত লাভের উপায় বাতলে দিলেন রাসুল (সা.)

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে মৃ’ত্যু ৩০ ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ

জান্নাত লাভের উপায় বাতলে দিলেন রাসুল (সা.)

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বেইজিং ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বেইজিংয়ের মিয়ুন জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রাণ হারান ২৮ জন এবং ইয়াংচিং জেলায় আরও ২ জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি।
এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হ্যবেই প্রদেশে ভূমিধসে আরও ৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।

টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও অবকাঠামো। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অন্তত ১৩৬টি গ্রামে। নিরাপত্তার কারণে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু মিয়ুন জেলা থেকেই সরানো হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বাদামি বন্যার পানি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলছে, এবং রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বেইজিং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা জারি করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল, পর্যটন কেন্দ্র ও ক্যাম্পসাইটের কার্যক্রম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ দুর্যোগকে ‘গুরুতর প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনকে নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তিস্তা প্রকল্পে প্রস্তুত চীন, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

জান্নাত লাভের উপায় বাতলে দিলেন রাসুল (সা.)

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই নীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত “ডিক্যাব টক” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী চীন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ কোনো তৃতীয় পক্ষবিরোধী জোট নয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।

তিস্তা নদী পুনর্গঠন প্রকল্প প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেন, “এই প্রকল্পে চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা বাংলাদেশের।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে তিনি জানান, রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়, তবে চীন এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—দুই পক্ষের সাথেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

সম্প্রতি ঢাকার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে চীনা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে খুব শিগগিরই চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে এবং চীন এ বিষয়ে আশাবাদী।

×