| ১০ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

করপোরেট কর হার নিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য

করপোরেট কর হার নিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য

আন্তর্জাতিক ন্যূনতম করপোরেট কর চুক্তিতে শামিল হয়েছে বিশ্বের ১৩৬টি দেশ। যা কার্যকর হলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যে দেশেই ব্যবসা করুক না কেন, সেই দেশের সরকারকে ন্যূন্যতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর দিতে বাধ্য থাকবে। তবে শর্ত হচ্ছে, অংশগ্রহণকারী সব দেশকে ডিজিটাল পরিষেবা কর বা ওই ধরনের যাবতীয় ব্যবস্থা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এমনকি আগামী দিনে তা আরোপ করা হবে না বলেও দিতে হবে প্রতিশ্রুতি।

আন্তর্জাতিক কর সংস্কারের লক্ষ্যে নীতি বদলই চুক্তির উদ্দেশ্য। এটি কার্যকর করার দায়িত্বে থাকা অর্গানাইজ়েশন অব ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) বলেছে, ৮ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা আন্তর্জাতিক কর নিয়ে বহুপাক্ষিক সম্মেলন শুরু হওয়া পর্যন্ত কোনো কোম্পানির ওপর ডিজিটাল কর চাপাতে পারবে না কোনো দেশ। আয়কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই করের দুটি অংশ। এক, ব্যবসা করে যে দেশে বিদেশি সংস্থার মুনাফা হচ্ছে, সেই দেশে ওই মুনাফার উপরেই ন্যূনতম ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। দুই, লাভ বেশি হলে ২৫ শতাংশ পর্যন্তও কর বসতে পারে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বৈশ্বিক করারোপের এ সমঝোতাকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিত নিম্ন করের দেশগুলোতে কোম্পানিগুলোর মুনাফা স্থানান্তর নিরুৎসাহিত করতে জি৭ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এখন সবাই তেমন আশাই করছে।

বহুজাতিকেরা এক জায়গায় ব্যবসা করে আর আরেক জায়গায় মুনাফা দেখায়, এই ফাঁকিবাজি বন্ধ করার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ডিজিটাইজড হওয়ার কারণে এই ফাঁকিবাজির পরিসর দিন দিন আরও বড় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, করপোরেট কোম্পানিগুলো অস্থাবর সম্পত্তির নিবন্ধন করছে ট্যাক্স হেভেন বা যেখানে করহার খুব কম, তেমন দেশগুলোতে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোনো দেশে করপোরেট করহার ১ শতাংশ হ্রাস করার অর্থ হলো, কর-পূর্ব মুনাফা ১ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করা। এই হার দিনের পর দিন শুধু বাড়ছে। বিভিন্ন দেশ এই পলায়নরত মুনাফা হাত করতে করহার কেবল কমাচ্ছে।

এই টাকা পাচারের কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো রাজস্ব হারাচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর যে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে, তাতে এই কোম্পানিগুলোর ট্যাক্স হেভেনে টাকা পাচার করার প্রবণতা কিছুটা কমবে। আর বহুজাতিকদের ব্যবসাস্থলে করারোপ করার যে অধিকার দেশগুলোর হাতে আসছে, তাতে যা ঘটবে তা হলো করের ভিত্তি নিয়ে জালিয়াতি করার ক্ষমতা বহুজাতিকদের কমবে।

তবে অক্সফাম বলছে, ১৫ শতাংশ করপোরেট কর কম হয়ে যাবে। শিল্পায়িত দেশগুলোতে করপোরেট করের গড় হার ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে এই হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা ঠিক হয়নি।
অক্সফামের কর নীতি বিভাগের প্রধান সুসানা রুইজ বিবিসিকে বলেছেন, ‘দারিদ্র্যের হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। সঙ্গে বাড়ছে অসমতা। কিন্তু এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য ও অসমতায় রাশ টানা যাবে, এমন সম্ভাবনা কম। বরং অনেক মিল্পায়িত দেশ এই উছিলায় করপোরেট কর হার হ্রাসের চেষ্টা করবে। ফলে গড় করপোরেট কর হার আরও হ্রাসের শঙ্কা আছে।

ওইসিডি-ই জানিয়েছে ন্যূনতম কর্পোরেট করের হার নিয়ে দেশগুলির চুক্তিতে সম্মতির কথা। ১৩ অক্টোবর আমেরিকায় জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে চুক্তি।

রাজউকের গত ১৫ বছরের সব কার্যক্রমে নিরীক্ষার নির্দেশ

করপোরেট কর হার নিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য

গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সব আয়-ব্যয় ও কার্যক্রমের নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এতে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ, হস্তান্তরসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের হিসাব অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রবিবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির (বিএমসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনস্বার্থে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরকে।

নিরীক্ষা কার্যক্রমের নির্দেশনা:

নিরীক্ষার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং তা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান মেনে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

নিরীক্ষা টিম গঠন করে সদস্যদের নাম, পদবি ও যোগাযোগ নম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

রাজউককে প্রতিটি ধাপে অবহিত রাখতে হবে।

সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে নিরীক্ষা শেষ করতে হবে।

নিরীক্ষা শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দিতে হবে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে রাজউকের কার্যক্রম ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সম্ভাব্য অনিয়ম ও দুর্নীতি চিহ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়াই ৯ জনের

করপোরেট কর হার নিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের (বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং) ভর্তি পরীক্ষা আজ রবিবার (১০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ও বিকেল— দুই শিফটে নেওয়া হবে এই পরীক্ষা, যেখানে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৯ জন শিক্ষার্থী।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন ৬ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন ১০টি বিভাগে মোট ৭৫০টি আসনের জন্য।

 

আসন বিন্যাস:

বড় বিভাগসমূহ: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং— প্রতিটি বিভাগে ১২০টি করে আসন, মোট ৬০০টি।

 

ছোট বিভাগসমূহ: আর্কিটেকচার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং— প্রতিটি বিভাগে ৩০টি করে আসন, মোট ১৫০টি।

 

 

ভর্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি:

আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৮ মে এবং শেষ হয় ৩০ জুন। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় ২৪ জুলাই, এরপর প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেন।

 

পরীক্ষার কাঠামো ও সময়সূচি:

পরীক্ষা দুটি পত্রে (নন-টেক ও টেক) মোট ৩০০ নম্বরের হবে এবং আড়াই ঘণ্টায় (এমসিকিউ ও লিখিত) সম্পন্ন হবে।

 

পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ভবনে— পুরাতন একাডেমিক ভবন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবন এবং টেক্সটাইল ওয়ার্কশপ ভবন।

 

প্রথম শিফট (সকাল ৯:৩০ – দুপুর ১২:০০): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচার।

 

দ্বিতীয় শিফট (দুপুর ২:০০ – বিকেল ৪:৩০): ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং।

 

 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সীমান্তে আটক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীন

করপোরেট কর হার নিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আটক রিয়াজ উদ্দীন

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জেলেপোতা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা ডা. দীপু মনির ভাগ্নে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় জনতা রিয়াজ উদ্দীনকে তিন দালালের সঙ্গে আটক করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেন। আটক দালালরা হলেন—সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত দালাল ফয়েজ উদ্দীন ও মিনহাজ উদ্দীন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে রিয়াজ উদ্দীন ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে আটক করে টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে মহেশপুরের দালালদের হাতে তুলে দেন।

শনিবার দুপুরে সীমান্ত থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে জেলেপোতা গ্রামের বাসিন্দারা তিন দালালের সঙ্গে রিয়াজ উদ্দীনকে দেখে আটক করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীনসহ তিন দালালকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×