| ৯ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

চার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি

চার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি

নতুন অর্থবছরে দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে প্রধান চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে। এগুলো হচ্ছে- মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানা, ডলার সংকট মোকাবিলা করে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং রাজস্ব আয় বাড়ানো। দেশে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এসব খাতে লক্ষ্য অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং।

সদ্য বিদায়ি অর্থবছরেও খাতগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এমনকি অর্থবছরের মাঝপথে অর্থাৎ গত জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েও তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, এসবের পাশাপাশি আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আইএমএফ-এর শর্তের বাস্তবায়ন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে আস্থার সঞ্চার করা, রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক অবস্থায় আনা। এছাড়া টাকা পাচার রোধ এবং হুন্ডির প্রভাব কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ১৫ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। এত লম্বা সময় মূল্যস্ফীতি মাত্রাতিরিক্ত হারে থাকায় অর্থনীতিতে বড় ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। যার দায় বেশির ভাগই পড়ছে স্বল্প ও মধ্য-আয়ের ভোক্তার ওপর। বিভিন্ন সময় এ হার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও তা অর্জিত হয়নি। উলটো বেড়েই চলেছে। গত বছরের মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে ওঠে। এরপর থেকে গত মে পর্যন্ত এ হার সামান্য ওঠানামা করে ৯ শতাংশের ওপরেই অবস্থান করেছে। কখনো ডাবল ডিজিটের কাছাকাছি চলে গেছে। মেতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে। চলতি অর্থবছরে এ হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ছাপানো টাকায় সরকারকে ঋণের জোগানও বন্ধ করেছে। পাশাপাশি ছাপানো টাকায় গঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন তহবিলের আকারও ছোট করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উৎপাদন খাতে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। এ কারণে আমদানি যেমন সংকুচিত করা হয়েছে, তেমনই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও কমেছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বেড়ে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ৩২ থেকে ৫৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। দুই বছর ধরেই আমদানি কমেছে গড়ে ১৮ শতাংশ করে। ২০২২ সালের আগস্টে এক মাসে সর্বোচ্চ ৯৫০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এখন তা কমে প্রতিমাসে গড়ে খোলা হচ্ছে ৪৭০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার এলসি। এভাবে ডলারের ওপর চাপ কমানো হচ্ছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। রপ্তানি আয় মে পর্যন্ত বেড়েছে ২ শতাংশ। গত মে মাসে এ খাতে আয় কমেছে ১৬ শতাংশ। তবে রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে রপ্তানি আয়ে।

বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। চলতি বছরে ৩ শতাংশের কম বাড়বে রেমিট্যান্স। গত বছর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ রয়েছে। গত মে থেকে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে ডলারের দাম একদিনে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করতে হবে। তখন এর দাম আরও বেড়ে গিয়ে টাকার মান কমিয়ে দেবে। আইএমএফ-এর মতে, বাংলাদেশের টাকা অতিমূল্যায়িত। এর মান আরও কমাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগের চ্যালেঞ্জগুলো তো রয়েই গেছে। মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, বিনিয়োগ বাড়ানো ও রাজস্ব আয় বাড়ানো। এগুলোর পাশাপাশি এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সাল থেকে আরও কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। সেগুলোও এখন থেকে মোকাবিলা করতে হবে। অর্থ পাচার, হুন্ডি, খেলাপি ঋণ- এগুলোও চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দেবে। এ অর্থবছরেও সরকারকে খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। বাড়াতে হবে বিনিয়োগ। নজর রাখতে হবে সুদের হার যাতে বেশি না বাড়ে। ডলারের প্রবাহ বাড়িয়ে টাকার মানকে স্থিতিশীল রাখাটা জরুরি।

চলতি মাসের শেষদিকে আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফ-এর শর্তে এতে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানোর নীতি গ্রহণ করা হবে। ফলে ঋণের সুদের হার আরও বাড়বে। ব্যাংকে তারল্যের প্রবাহও কমবে। ফলে ঋণের খরচ বেড়ে যাবে।

একদিকে ডলারের দাম, ঋণের সুদ, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবসায় খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় বাড়ছে না। উলটো মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার কারণে আরও কমে যাচ্ছে। এতে ভোক্তার ভোগের সক্ষমতা কমেছে। এসব চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা যেমন কমছে, তেমনই ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের কারণে জোগানও কমেছে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। বেকারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান হচ্ছে না।

এদিকে চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে শিল্প খাতে ডলারের জোগান, কম সুদে ঋণ বিতরণ এবং অন্যান্য নীতিসহায়তা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মুদ্রানীতিতে বেশকিছু পদক্ষেপ থাকছে। তবে তা কতটুকু অর্জন করা সম্ভব, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, বিদায়ি অর্থবছরের মুদ্রানীতির বেশির ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

অর্থনৈতিক মন্দা, বিনিয়োগ হ্রাস, ডলার সংকট ও সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির কারণে আমদানি যেমন কমেছে, তেমনই সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিও কম। ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণও কম হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে রাজস্ব আয় কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এতে সরকারের ব্যয় যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে বিনিয়োগও। রাজস্ব আয় না বাড়ায় সরকারকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট থাকায় চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে ঋণের জোগানও দিতে পারছে না। মূল্যস্ফীতি বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায়ও ঋণ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারের আর্থিক সংকট প্রকট হচ্ছে। এ সংকট কাটাতে সরকার বিভিন্ন সেবার মূল্য ও ফি বাড়াচ্ছে। এতে ভোক্তার ওপরও চাপ বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহে বাধা, দেশীয় মুদ্রার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশ এর সুবিধা পাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয় এবং বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এসব উপকরণের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে রয়েছে শুধু টাকার মান স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি। বাকিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে এককভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমানো সম্ভব নয়। এজন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আইএমএফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এখন বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হচ্ছে। অর্থনীতিকে করোনা মহামারির আগের অবস্থায় নিতে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।

দুমকিতে পুলিশের অভিযানে ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

চার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬৫০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লেবুখালী পায়রা সেতু টোল প্লাজার চেকপোস্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই নুরুজ্জামান ও এএসআই দুলাল, সঙ্গীয় ফোর্সসহ।

গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (২৪)। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা লাইট হাউস এলাকার খুকু হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার পিয়ারপুর মৌকরনে বসবাস করছিলেন।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে জিয়ার কাছ থেকে মোট ৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুমকি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (মামলা নং–৩, তারিখ: ৯ আগস্ট ২০২৫) দায়ের করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর: চালু হলো মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

চার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়া সরকার অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (MEV) চালু করেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। এতে জানানো হয়, এই সুবিধা শুধু বৈধ পাস ল্যান কার্ড কেদাতাং সেমেন্টারা (PLKS) ধারকদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে ইমিগ্রেশন বিভাগ এর সমন্বয় করবে।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, এই উদ্যোগ অভিবাসী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া ও নিজ দেশে যাতায়াত আরও সহজ করবে, একইসাথে ইমিগ্রেশন পাসের অপব্যবহার কমাবে। তাছাড়া বিদেশে অবস্থানরত মালয়েশিয়ার দূতাবাসগুলোতে নতুন ভিসা আবেদনের চাপও হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশি কর্মীরা এখন থেকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রয়োজনে সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন, যা আগে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার কারণে সীমাবদ্ধ ছিল।

গত ১৫ জুলাই কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক ফেসবুক পোস্টে এই ভিসা চালুর বিষয়ে অবহিত করেছিল।

বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে। আলোচনার পর ১০ জুলাই এ বিষয়ে সরকারি পরিপত্র জারি করা হয়।

এমইভি চালুর ফলে বর্তমানে ১৫টি শ্রমিক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মতোই একাধিকবার যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। এতে তাদের ভ্রমণ সুবিধা ও কর্মজীবনে স্বস্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দিল ইসলামী ছাত্র শিবির

চার চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি
তোমরা হবে স্বপ্নে রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়ায় বিশ্বময়” এই প্রতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের ক‍্যারিয়ার গাইডলাইন এবং সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রশিবির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, ইসলামি সাহিত্য, সার্টিফিকেট, কলম, পরিবেশ বন্ধু গাছ এবং ছাত্রশিবিরের পরিচিতি উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়।
উপজেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আল মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপ জন মিত্র। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র শিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা সেক্রেটারি মোবাশ্বের রাশেদ্বীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ ও কুড়িগ্রাম -১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম।
অন‍্যান‍্যদের মধ্যে মিজানুর রহমান, ফেরদৌস হোসেন, আবু হেনা মাসুম, রোকনুজ্জামান ও রাজু আহমেদ প্রমখ বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ভূরুঙ্গামারী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া জান্নাতুন ফেরদৌসী ও জয়মনিরহাট মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের তানভীর হাসান তামিম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কথা এবং কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তারা।
বক্তারা বলেন, মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে বড়, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে চালিয়ে যেতে হবে সর্বোচ্চ চেষ্টা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ লালনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সমাজ ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।
×