
২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৯০০ বারেরও বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা জানান, এই লঙ্ঘনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমান ও গোলাবর্ষণ হামলা, ড্রোন তৎপরতা, মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা, সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা।
এই লঙ্ঘনগুলোর ফলে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১৬ জনে পৌঁছেছে এবং অন্তত ৩৪২ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি প্রবেশে বাধা দিয়েছে, উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন ও ভারী যন্ত্রপাতি আটকে দিয়েছে এবং ২ লাখ ৬০ হাজার তাঁবু ও অস্থায়ী আবাসন সরঞ্জাম প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করেছে। গাজার মিডিয়া অফিস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করে।

এই পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলকে মানবিক সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছে এবং এই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য করা হয় এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা বন্ধ করা হয়।